ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী
সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক এবং চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু,সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন সহ ১০ আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে তাদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। সোমবার (০৭ আগস্ট) চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিম মুন্সী মশিউর রহমান এই আদেশ দিয়েছেন। মামলার বাদি দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরীর আবেদন গ্রহণ করে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।

বাদির আইনজীবী ও দিয়াজের বড় বোন জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নীপা একুশশতক ডট কম কে বলেন, আসামিদের অতিসত্বর গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিমানবন্দরসহ দেশের সকল সীমান্তেও আসামিদের বিষয়ে তথ্য পাঠিয়ে তারা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সেজন্য সতর্ক করার কথা বলেছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির চট্টগ্রাম জোনের সিনিয়র এএসপি হুমায়ুন কবির একুশ শতক ডট কমকে বলেন, আদেশের কপি আমি এখনো পাইনি। কপি পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। তবে মামলার নির্ধারিত তারিখ হচ্ছে ৩০ আগস্ট।

দিয়াজ হত্যা মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে আছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামশেদুল আলম চৌধুরী, স্থগিত কমিটির প্রচার সম্পাদক রাশেদুল আলম জিসান, ছাত্রলীগ কর্মী আবু তোরাব পরশ, চবি ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মনসুর আলম, সহ সভাপতি আব্দুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমান। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছিল।চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে দিয়াজ চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দুই নম্বর গেইট সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসা থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে বলে বক্তব্য দিলেও শুরু থেকেই তার পরিবার অভিযোগ করে আসছিল, দিয়াজকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ প্রথম দফা ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। তারা আত্মহত্যা বলে প্রতিবেদন দিলে সেটি দিয়াজের পরিবার প্রত্যাখান করে। দ্বিতীয় তদন্তে তাকে স্বাসরোধ করে হত্যার প্রমান পায় ঢাকা মেডিকেলের ফরেন্সিক বিভাগ।

সর্বশেষ আপডেট: ৮ আগস্ট ২০১৭, ২০:৫১
মাকসুদুর রহমান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন