লক্ষ্মীপুরে স্বপ্নের আউশ পানির নিচে

লক্ষ্মীপুরে জমিতে জলাবদ্ধতা।
লক্ষ্মীপুরে জমিতে জলাবদ্ধতা।

সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্নিঝড় `মোরা’ আঘাত হেনেছে বাংলাদেশে উপকূলে। এর প্রভাবে ঘুর্নিঝড় আগে ও পরে সৃষ্ট প্রবল বৃষ্টির জলাবদ্ধতা এবার আউশ ধান ডুবে লক্ষ্মীপুরের কৃষকদের বুকে ধাক্কা লাগতে শুরু করেছে। পুরো জেলার সদর উপজেলা, কমলনগর, রামগতি, রায়পুর, রামগঞ্জে কৃষকদের চাষ করা চলতি মৌসুমের আউশ ধান এখন ৫ফুট পানির নিচে ডুবন্ত অবস্থায়। এতে অঙ্কুরদগম থেকে উঠতি আউশ ধান পচতে শুরু করেছে।

ক্ষেতের পানিগুলো কোন মেঘনায় সৃষ্ট বন্যা কিংবা জলোচ্ছাসের পানি নয়। পানিগুলোর অধিকাংশ উৎস গত দু’দিনের প্রবল বৃষ্টি। মাত্রাধিক বজ্রপাত আর প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া আড়ালে বৃষ্টির পানিগুলো যেন কৃষকদের ভাগ্য ছিনিয়ে নিতে উঠে পড়ে লেগেছে। সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ক্ষেত থেকে পানি অপসারণের সুবিধা সংকটে তীব্র হতাশার চাপ বাড়ছে কৃষকদের ভাবনায়। ১লা জুন সকাল থেকে টানা কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে ক্ষেতের পানি যখন

৪ফুট, তখন দেখা মিলে মেঘনাপাড়ের কমলনগরের চর মার্টিনের কৃষক মোঃ নুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি হাত দিয়ে ক্ষেতের এই পানি দেখিয়ে
বলছেন, ‘ক্ষেতের এই পরিস্থিতিকে সাগর মতো হয়ে গেছে যে দিকেই তাকাই শুধু পানি আর পানি’।

বাতাসের ছোঁয়ায় ক্ষেতের পানিগুলো এখন সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ। কোন দিকে, কিভাবে ক্ষেত থেকে পানি সরাবে কৃষক? নেই কোন কালভার্ট, খালগুলোও সব ভরাট। মনে হচ্ছে, এখন আউশ চাষী কৃষকদের ঘুর্নিঝড় আঘাত করছে! এখন কৃষকরা সবাই তীব্র হতাশা আর প্রবল চিন্তাগ্রস্ত হয়ে
পড়ছেন।

স্থানীয় চর মার্টিন ইউপি সদস্য মোঃ নুরুল ইসলাম পারভেজ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এলাকায় পর্যাপ্ত কালভার্ট না থাকায় পানিগুলো সব আটকে আছে। মেঘনার ভাঙ্গনে দূরের খালগুলোও ভরাট হয়ে আছে। বিকেলে এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করা হবে’।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করলে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুদুর মোল্লা একুশ শতককে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউপি
চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দিচ্ছি, তারা যেন দ্রুত সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়’।

সর্বশেষ আপডেট: ৩ জুন ২০১৭, ১১:৫০
জুনাইদ আল হাবিব
কমলনগর প্রতিনিধি

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন