বাবরি মসজিদ: হিন্দু-মুসলিম সমঝোতা চায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হয়।
১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হয়।

ভারতের অযোধ্যায় রাম মন্দির এবং বাবরি মসজিদ বিতর্কে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার জানিয়েছে যে দুই পক্ষ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুক।

শীর্ষ আদালত মনে করে, ধর্ম আর বিশ্বাসের সঙ্গে এই সমস্যা জড়িত। তাই এরকম একটি সংবেদনশীল বিষয়ের সমাধান একমাত্র আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই হতে পারে।

রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ নিয়ে চলা একটি মামলার শুনানির সময়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর বলেন, “দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন।”

৩১ মার্চের মধ্যে দুই পক্ষকে আলোচনায় বসতে হবে, এটাও জানিয়েছে আদালত।

ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা সুবহ্ম্যনিয়ম স্বামী সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জানিয়েছিলেন যাতে অযোধ্যা মামলার দ্রুত শুনানি হয়।

মি. স্বামী সম্প্রতি বিবিসি-র একটি ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছিলেন যে দুবছরের মধ্যে রাম মন্দির তৈরি হবে।

“অন্য কোনও জায়গায় রাম মন্দির তৈরি সম্ভব না আমাদের পক্ষে, কারণ এটা ধর্ম বিশ্বাসের ব্যাপার,” মন্তব্য করেছিলেন সুব্রহ্ম্যনিয়ম স্বামী।

১৯৯২ সালে অযোধ্যার বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল।

২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাদের রায়ে বলেছিল, যে জায়গায় রামচন্দ্রের মূর্তি স্থাপিত হয়েছে, সেখানে মূর্তি-ই থাকবে। গোটা জমিটার তিনভাগ হবে। একটা অংশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

সেই নির্দেশের ওপরেই স্থগিতাদেশ দিয়ে রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।

আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আদালত আজ কোনও নির্দেশ দেয় নি, তবে এটা তাদের একটা উপদেশ।

বিজেপি আদালতের এই উপদেশকে স্বাগত জানালেও বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি বলছে, আদালতের বাইরে মীমাংসার চেষ্টা আগেও হয়েছে। তবে তা ফলপ্রসূ হয়নি। তাই এর মীমাংসা আদালতকেই করে দিতে হবে।

সর্বশেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৭, ০২:২৯
বিবিসি বাংলা

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন