রোহিঙ্গা নির্যাতন: পাকিস্তানের উচিত বাংলাদেশকে অনুসরণ করা, বললেন মালালা

মালালা ইউসুফযায়ি।
মালালা ইউসুফযায়ি।
গত বছর নির্বাচনের পর মিস সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি ক্ষমতায় আসে এবং তিনি বর্তমানে দেশের প্রকৃত নেতা। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর থেকে মিস সুচি, যাকে ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয়, রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত পাকিস্তানি তরুণী মালালা ইউসুফযায়ি এক বিবৃতি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার নিজের দেশ পাকিস্তানকে বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

”আমি যখনই খবর দেখি, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুরবস্থা দেখে আমার হৃদয় ভেঙ্গে যায়,” মালালা এক বিবৃতিতে বলেন, যেটা তিনি টুইটারের মাধ্যমে প্রকাশ করেন।

”আমার নিজের দেশ পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের উচিত বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করা এবং যেসব রোহিঙ্গা পরিবার সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসছে তাদের জন্য আশ্রয়, খাদ্য এবং শিক্ষার সুযোগ দেয়া,” মালালা বলেন।

গত দশ দিনে প্রায় ৯০,০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। গত বছর অক্টোবর মাসে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর অভিযানের মুখে ৭০,০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

বাংলাদেশ সরকারের হিসেব অনুযায়ী আরো অন্তত: তিন লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজার অঞ্চলে সরকারি অনুমোদন ছাড়া বসবাস করছে।

মালালা ইউসুফযায়ি তার বিবৃতি বলেন, তিনি বার বার রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচারের নিন্দা করেছেন কিন্তু অং সান সু চি-র মুখ থেকে একই রকম নিন্দার জন্য এখনো অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

মালালা ইউসুফযায়ির টুইট।

গত বছর নির্বাচনের পর মিস সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি ক্ষমতায় আসে এবং তিনি বর্তমানে দেশের প্রকৃত নেতা। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর থেকে মিস সুচি, যাকে ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয়, রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

”আমি এখনো অপেক্ষা করছি আমার মতই নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত অং সান সু চির কাছ থেকে একই পদক্ষেপের জন্য। গোটা পৃথিবী অপেক্ষা করছে, এবং রোহিঙ্গা মুসলিমরাও অপেক্ষা করছে,” মালালা ইউসুফযায়ি বলেন।

”আজ আমি ছোট ছোট বাচ্চাদের ছবি দেখেছি যাদের মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করেছে। এই বাচ্চারাতো কাউকে আক্রমণ করেনি, কিন্তু তারপরও তাদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ”

মালালা বলেন, রোহিঙ্গাদের মায়ানমারের নাগরিকত্ব দেয়া উচিত যে দেশে তাদের জন্ম হয়েছিল।

মিয়ানমার যদি তাদের দেশ না হয়, যেখানে তারা বংশ পরম্পরায় বসবাস করছে, তাহলে তাদের দেশ কোথায় হতে পারে?,” মালালা তার বিবৃতিতে প্রশ্ন করেন।

সর্বশেষ আপডেট: ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২৩:৫৬
বিবিসি বাংলা

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন