পশ্চিমবঙ্গে পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষায় মমতাকে এরশাদের চিঠি

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (বামে) মমতা ব্যানার্জি (ডানে)।Google Image
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (বামে) মমতা ব্যানার্জি (ডানে)।
প্রায় ৭০ বছর আগে কোচবিহারের ওই পৈতৃক এলাকা ছাড়েন এরশাদ। তবে প্রায় প্রতিবছরই তিনি স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে সেখানে যান। স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে চিঠি লিখেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তবে মমতা সেই চিঠির উত্তর দেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত ফেব্রুয়ারিতে মমতার কাছে লেখা আবেগী এক চিঠিতে এরশাদ দাবি করেন, কোচবিহার জেলায় তাঁর পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি (যেখানে তাঁর দুই চাচাতো ভাই ও তাঁদের পরিবার বাস করছে) বেদখল হয়ে যাচ্ছে। সেখানে অবৈধভাবে মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা বন্ধের জন্য চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য চান তিনি।

কোচবিহারের দিনহাটা এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এরশাদের পৈতৃক সম্পত্তির অবস্থান। এরশাদ চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, তাঁর স্বজনেরা এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ দাখিল করেছেন। তবে তাঁরা অসহায় হয়ে পড়েছেন।

এরশাদ সম্প্রতি ফোনে ভারতের দৈনিক দ্য হিন্দুকে বলেছেন, মমতা ব্যানার্জি তাঁর চিঠির কোনো উত্তর দেননি। এরশাদ বলেন, ‘তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে তিনি (মমতা) এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। কারণ, আমার পরিবারকে এখন কেউ বিরক্ত করছে না। আমার মনে হয় মন্দির নির্মাণের কাজ স্থগিত করা হয়েছে।’

যদিও জাকারিয়া হোসেন নামে এরশাদের এক ভাতিজা বলেছেন, তাঁরা এখনো হুমকির মধ্যে রয়েছেন। জাকারিয়া বলেন, ‘এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সম্পত্তিটি দখল করতে চান। ওই জমির পরিমাণ ৭০ শতাংশ। ওই ব্যক্তিরা স্থানীয় একটি বয়েজ ক্লাবের মাধ্যমে সম্পত্তিটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এর আগে তাঁরা সামান্য অর্থের বিনিময়ে জমিটি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমরা তা গ্রহণ করিনি। এখনো আমরা পরোক্ষভাবে হুমকি পাচ্ছি।’

জাকারিয়া পেশায় আইনজীবী। তিনি অভিযোগ করেন, ক্লাবের সদস্যদের উদ্দেশ্য ওই সম্পত্তিতে একটি রেসিডেনসিয়াল কমপ্লেক্স গড়ে তোলা। এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ অভিযোগের বিষয়ে দ্য হিন্দুর পক্ষ থেকে কোচবিহারের পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। ওই ক্লাবের সদস্যদেরও মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

প্রায় ৭০ বছর আগে কোচবিহারের ওই পৈতৃক এলাকা ছাড়েন এরশাদ। তবে প্রায় প্রতিবছরই তিনি স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে সেখানে যান। স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। সর্বশেষ সফরে তিনি মমতা ব্যানার্জিকে চিঠি লেখেন।

সূত্র: দ্য হিন্দু।

সর্বশেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৭, ০২:৪১
প্রথম আলো

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন