লক্ষীপুরে রমজানকে কেন্দ্র করে শসা উৎপাদনের ধুম

শসা উৎপাদনের জন্য জমি প্রস্তুতে ব্যাস্ত চাষীরা।
শসা উৎপাদনের জন্য জমি প্রস্তুতে ব্যাস্ত চাষীরা।

আগামি জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম ইবাদত আর বন্দেগীর সময় পবিত্র রমজান মাস। ঐ সময়ে দিনের বেলায় দীর্ঘ ১৪-১৫ ঘণ্টা উপবাস থেকে রোজা পালন করে থাকবেন রোজাদাররা। সন্ধ্যাই ইফতারে থাকে নানান আয়োজন। তৈরি করা হয় নানান রকমের ইফতারি। আর সেই ইফতারি তৈরি করে সুস্বাদু করতে হলে শসার কোন বিকল্প নেই।

রমজানকে কেন্দ্র করে শসা ক্ষেত প্রস্তুত করতে ব্যাস্ত চাষীরা। দিচ্ছেন শ্রম আর শসা চাষের জন্য ব্যয় করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। স্বপ্ন শুধু রমজানে শসার চাহিদা মিটানো এবং নিজেকে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধি করার। বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর। এখানে জেলা সদরের দক্ষিণাঞ্চল ও কমলনগরের পশ্চিম এবং রামগতি উপজেলার অনেকাংশে চাষ হয়ে থাকে সবজির। আর এই সবজি স্থানীয় মানুষের চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন বড় বড় বাজারগুলোতে। তারই সুবাধে
কমলনগরের মতিরহাট-তোরাবগঞ্জ সড়কের ৪নং চরমার্টিন ইউনিয়নের বলিরপোল সংলগ্ন সাড়ে ৭ একর জমিতে শসা উৎপাদনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিদিন ২০-২৫ জন শ্রমিককে কাজ করে এখানে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরো সাড়ে ৭ একর জমি সম্পূর্ণ মাটি কেটে সারি সারি করানো। মাঠটির দিকে তাকালে অন্যরকম দৃশ্য। বড় এই শসার ক্ষেতটি কোন কাছের চাষীদের পরিকল্পনায় ছিলনা। শসার ক্ষেতটি জেলা সদরের মিয়ারবেড়ী এলাকার একজন চাষী মোঃ সহিদ মিয়ার ক্ষেত।
শসা চাষের সাথে যুক্ত শ্রমিকরা বলেন, ‘ক্ষেতটির একদম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বাতির খাল। খালের জোয়ারের পানিকে কাজে লাগানো যাবে। তাছাড়া এই এলাকার জমিগুলোও বেশ উর্বর।’

প্রস্তুতকৃত জমিটির বিভিন্ন অংশে ঘুরার সময় নজরে পড়েছে, জৈবসার ও পানি প্রবাহের জন্য বিশেষ প্রবেশ মুখ।
এদিকে দূর এসে কমলনগরের চরমার্টিনে এত বড় শসা ক্ষেত করা দেখে অবাক স্থানীয় মানুষজন। তারই একজন তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ধবম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ জুয়েল রানা। তিনি একুশ শতককে বলেন, আমাদের এলাকায় আর কোন এরকম বড় ধরণের শসা ক্ষেত নজরে পড়ে নাই। এটিই আমাদের দেখাতে সর্বপ্রথম, তাও আবার দীর্ঘ ৯-১০কিলোমিটার দূর থেকে এসে এই শসা চাষ করছেন।

সর্বশেষ আপডেট: ৬ এপ্রিল ২০১৭, ২০:৪০
জুনাইদ আল হাবিব
কমলনগর প্রতিনিধি

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন