সাইবার অপরাধ সচেতনতায় পুরস্কার পেলেন স্টামফোর্ডের হৃদয়

মিসবাহ হাসান: তথ্য-প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে দেশে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণির মানুষের মধ্যে ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোনের ব্যবহার যত বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ। সাধারণত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমগুলোতে এই অপরাধের প্রবণতা বেশি। আর এই প্রবনতা কমানোর জন্য প্রয়োজন তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের আগে তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জানা। ঠিক এমনটাই বলছিলেন স্টামফোর্ডের সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র হৃদয় সম্রাট।

বাবা মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলে হৃদয়। ছোটবেলা থেকেই কম্পিউটারের প্রতি যেন এক অন্যরকম আগ্রহ। হৃদয় ছোটবেলার গল্প বলতে গিয়ে বলেন, ‘আমি খুব ডানপিঠে ছিলাম। বাসায় যখন কম্পিউটার নিয়ে আসা হলো আমি তখন চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ি। একবার কম্পিউটার ব্যবহার করতে করতে গরম হয়ে যায় আমি ঠন্ডা করার জন্য কম্পিউটারে পানি ঢেলে দিই’।

সেই অষ্টম শ্রেণি থেকে নিজের মাতৃভূমি ফরিদপুর ছেড়ে রাজধানীতে পাড়ি জমান এই তরুণ। রাজধানীর শহীদ পুলিশ স্মৃতি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০১৪ সালে এস এস সি ও ঢাকা সিটি কলেজ থেকে ২০১৬ সালে ব্যাবসায়ী শিক্ষা বিভাগ থেকে এইচ এস সি পাশ করে বর্তমানে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় অধ্যয়ন করছেন। ব্যাবসা শিক্ষা থেকে সাংবাদিকতায় ভর্তির রহস্য জানতে চাইলে হৃদয় বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্যরা কেউ লইয়ার, কেউ সরকারি কর্মকর্তা তাই পরিবারের সিদ্ধান্ত ও নিজের আগ্রহের দিকটা লক্ষ রেখে সাংবাদিকতায় ভর্তি হওয়া। লেখাপড়ার পাশাপাশি কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও বিভিন্ন রকম সামাজিক সচেতনতামূলক সংগঠনের সাথে ব্যস্ত সময় পার করেন এই তরুণ ।

সাইবার সচেতনতা প্রসঙ্গে হৃদয় বলেন, সাইবার অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে আর সবচেয়ে বেশী সাইবার অপরাধ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে। আমাদের নিজেদের তথ্য ফেসবুকে শেয়ার করছি আর সেই তথ্য পর্দার আড়াল থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে নাম না জানা অনেকে। তাই সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আমাদেরকে ফেসবুকের পাশাপাশি সকল ধরনের ফ্রি অ্যাপসের ব্যবহার কমাতে হবে।

নিজের অভিজ্ঞতার গল্প করতে গিয়ে বলেন, বিভিন্ন নিত্য নতুন সেমিনারে অংশ গ্রহন করা ছিল আমার এক অন্যরকম ভালো লাগা। তাই স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাস এ সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন আয়োজিত সাইবার অপরাধ নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজনটা আমি হাত ছাড়া করিনি।

সেখানে হৃদয় সাইবার অপরাধের উপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে জিতে নেন পুরস্কার। দর্শক সারিতে সবাই যখন একটি সার্টিফিকেট নিয়ে ফিরছে, হৃদয় তখন নিজের ঝুলিতে যোগ করলেন নতুন পুরষ্কার। বর্তমান হৃদয় নিজের লেখা পড়ার পাশাপাশি একজন তরুন সাংবাদিক হিসেবে লেখালেখি ও অ্যাপস ডেভেলপমেন্টের কাজও ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
তরুনদেরকে সাইবার অপরাধ সচেতন করে ইন্টারনেট ব্যবহার কমিয়ে বই পড়তে আগ্রহী করার জন্য উদ্যোগ গ্রহন করেতে চান হৃদয় সম্রাট।

সর্বশেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:৩৩
ডেস্ক রিপোর্ট

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন