দাউদ ইব্রাহীম সৎ পুলিশ কনস্টেবলের পুত্র থেকে ‘মাফিয়া ডন’

দাউদ ইব্রাহীম।Anonymous
দাউদ ইব্রাহীম।
২৬ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ সাল। জন্ম হয় দাউদ ইব্রাহীমের। তার জন্মের খবর শুনে ইব্রাহীম কসকরের বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে যান করিম লালা। করিম লালা যদি জানতেন, এই ছেলে বড় হয়ে তার অপরাধ সাম্রাজ্য ভেঙে তছনছ করবে- তাহলে নিশ্চয়ই তিনি মিষ্টি নিয়ে তাকে স্বাগত জানাতে যেতেন না।

তিন দশক যাবত তিনি মুম্বাই পুলিশ তথা ভারতীয় আদালতের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি, অন্যদিকে পাকিস্তানের কাছে একজন সুরক্ষিত মেহমান। করাচির ক্লিফটন বিচের কাছে তার অবস্থানকে প্রায় দুর্ভেদ্য করে রেখেছে পাকিস্তানের আইএসআই। বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত তার মাফিয়া চক্রের জাল। হাজার হাজার কোটি রুপি তিনি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ধার দিয়েছিলেন বলে সন্দেহ পোষণ করেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।

পাকিস্তানের নন্দিত ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাদের ছেলে জুনায়েদের সাথে নিজের মেয়ে মাহরুখকে বিয়ে দিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন তিনি। তাকে ধরার জন্য ভারতীয় পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজেছে দিনের পর দিন; কিন্তুু নাগাল পায়নি। ফোর্বস ম্যাগাজিনে তার নাম উঠেছিলো পৃথিবীর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায়। প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করা কিংবা নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য যেকোনো পদক্ষেপ নিতে জুড়ি নেই তার। তিনিই হলেন আন্ডারওয়ার্ল্ডের অঘোষিত সম্রাট দাউদ ইব্রাহীম হাসান কসকর।

এক সৎ পুলিশ কনস্টেবলের অপরাধী পুত্র

ভারতের সবচেয়ে সম্পদশালী প্রদেশ মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী অঞ্চল রত্নগিরির মুমকা জেলার অধিবাসী হাসান কসকর বোম্বে নগরীর ডুংরিতে এক সেলুনের দোকান দেন। হাসান কসকরের ছেলে ইব্রাহীম কসকর পড়াশোনা করে বোম্বে পুলিশে ঢোকেন। অনেক বছর চাকরি করার পর তিনি হেড কনস্টেবল পদে উন্নতি লাভ করেন। হেড কনস্টেবল পদটি যথেষ্ট সম্মানের। তাছাড়া মুসলিমদের মধ্যে এই পদে খুব কম পুলিশই যেতে পারতো। অত্যন্ত ধার্মিক ইব্রাহীম কসকর বিশ্বাস করতেন- মুখ দিয়েছেন যিনি, আহার দেবেন তিনি। তাই বিয়ের পর তিনি পরিবার পরিকল্পনাকে আমলে না নিয়ে একে একে ৭ ছেলে ও ৫ মেয়ের জন্ম দেন। এই হেড কনস্টেবল ইব্রাহীম কসকরের দ্বিতীয় ছেলেই হলেন অপরাধ জগতের ভয়ঙ্কর ত্রাস, ভারতীয় আন্ডারওয়ার্ল্ডের ‘বাপ কা ডন’ দাউদ ইব্রাহীম।

দাউদ ইব্রাহীম ভেঙে দিয়েছিলেন অপরাধ সংগঠনের চেনা ছক, ক্ষেত্রবিশেষে তিনি ছিলেন ইতালিয়ান ও মেক্সিকান মাফিয়াদের চেয়েও ভয়ংকর; গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য জুড়েই ছিলো তার নেটওয়ার্ক। টাটা, বিড়লা কিংবা আম্বানীদের মতোই তিনি গড়ে তুলেছিলেন হাজার হাজার কোটি রুপির বিশাল এক সাম্রাজ্য।

বোম্বের অপরাধ জগতে দাউদের জড়িয়ে পড়া

বোম্বে নগরী মায়াময়, যাদুর শহর। সব সম্ভাবনা আর স্বপ্নের শহর। তেমনি এ শহর কালো টাকা আর অপরাধমূলক কাজেরও আখড়া। সদাব্যস্ত এ শহরে যে লাইনেই কাজ করা যায়, সেই লাইনেই টাকা। বোম্বে নগরীর দক্ষিণ প্রান্তে বিশাল সংখ্যক মুসলমানদের বাস। আর মুসলমানদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাঠানদের বাস। দেশভাগের পূর্বে তারা পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ থেকে সেখানে বসবাস করতে এসেছিলো রোজগারের আশায়। দেশভাগের পরও তারা বোম্বে নগরী ছাড়েনি। কারণ দুর্ধর্ষ পাঠানরা ভয় কী জিনিস তা জানে না। হিন্দুদের তুলনায় মুসলমানরা ছিল শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে। আর অপরাধ প্রবণতায় মুসলমানদের ধারে কাছেও ছিল না হিন্দুরা।

দাউদ ইব্রাহীম সম্পর্কে আলোচনা করতে হলে বোম্বের মুসলিম মাফিয়াদের সম্পর্কে জানতেই হবে। মুসলমান মাফিয়াদের আদিগুরু হাজী মাস্তান বোম্বের উপকূল জুড়ে চোরাচালানের ব্যবসা করে অঢেল বিত্তের মালিক হন। সঙ্গী শুকুর বখিয়াকে সাথে নিয়ে তিনি মহারাষ্ট্র-গুজরাট জুড়ে এক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। হিন্দি মুভির নায়িকা মধুবালার ভক্ত ছিলেন হাজী মাস্তান। দিলীপ কুমারের সাথে এক অনুষ্ঠানে দেখাও হয়েছিল তার। হাজী মাস্তানের সমসাময়িক পাঠান মাফিয়া ছিলেন করিম লালা। মারমুখী পাঠানদের নিয়ে তিনি দক্ষিণ বোম্বেতে বাস করে চাঁদাবাজির ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। করিম লালা-হাজী মাস্তান জুটি মিলিতভাবে বোম্বের অপরাধ জগতের সম্রাট বনে যান। ঠিক সেই সময়টাতে দাউদ ইব্রাহীমের পিতা ইব্রাহীম কসকর ডুংরিতে বসবাস শুরু করেন।

২৬ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ সাল। জন্ম হয় দাউদ ইব্রাহীমের। তার জন্মের খবর শুনে ইব্রাহীম কসকরের বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে যান করিম লালা। করিম লালা যদি জানতেন, এই ছেলে বড় হয়ে তার অপরাধ সাম্রাজ্য ভেঙে তছনছ করবে- তাহলে নিশ্চয়ই তিনি মিষ্টি নিয়ে তাকে স্বাগত জানাতে যেতেন না।

সে যা-ই হোক, ছোটবেলা থেকেই দাউদ ইব্রাহীম দেখে আসছিলেন পিতার নিদারুণ অভাবের সংসার। কর্মসূত্রে এক ভুল বোঝাবুঝির ঘটনায় দাউদের পিতা চাকরি থেকে অব্যাহতি পান। অভাবের তাড়নায় সপ্তম শ্রেণীতে ওঠার পর দাউদ আর স্কুলে যাননি।

এরপর তিনি জড়িয়ে পড়েন ছিনতাই আর ছিঁচকে চুরিতে। পথচারীদের ভয় দেখিয়ে জিনিসপত্র লুট করার কাজে তার সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিল বড় ভাই সাবির ইব্রাহীম। দুই ভাই মিলে ছোঠখাটো একটি দল বানিয়ে ফেললেন। বোম্বে জুড়ে তখন পাঠান মাফিয়াদের একচ্ছত্র রাজত্ব। ধীরে ধীরে সবাই টের পাচ্ছিল, দক্ষিণ বোম্বে থেকে হেড কনস্টেবল ইব্রাহীম কসকরের ছেলেও অপরাধজগতে হাত মকশো করছে।

সাবির ইব্রাহীম খুন: প্রতিশোধের নেশায় উন্মত্ত দাউদ

দাউদ-সাবির দুই ভাই যখন ধীরে ধীরে বোম্বের অপরাধজগতে রাজত্ব করতে চাইলো, তখনই নারীঘঠিত কারণে খুন হয় সাবির ইব্রাহীম। এশিয়ার সবচেয়ে বড় পতিতালয় বোম্বের কামাথিপুরায় জনৈক দেহপসারিণীকে ভালো লেগে যায় সাবির ইব্রাহীমের। সেই পতিতাকে আবার নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান পাঠান মাফিয়া আমিরজাদা। এ দ্বন্দের জেরে আমিরজাদা খুন করে সাবিরকে। সঞ্জয় গুপ্তের মুভি ‘শ্যুটআউট এট ওয়াডালা’তে এ বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

আমিরজাদাকে হত্যা করার জন্য হন্যে হয়ে উঠে দাউদ ও তার দলবল। পরিচয় হয় কিলার বড় রাজনের সাথে। বড় রাজন দাউদের খেদমতে এক ভাড়াটিয়া খুনীকে প্রেরণ করে। তার নাম পরদেশী। সাবির হত্যা মামলায় আমিরজাদা তখন জেলে। দাউদ-বড় রাজন-পরদেশী, এই তিনজন মিলে সিদ্ধান্ত নেয় আমিরজাদাকে কোর্ট প্রাঙ্গনে হত্যা করা হবে। যে কথা সে কাজ। আমিরজাদাকে শত শত মানুষের সম্মুখে কোর্ট প্রাঙ্গনে হত্যা করে পরদেশী। কিন্তু সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। গ্রেফতার হয় দাউদ ও বড় রাজন। যদিও বেশ কিছুদিন পর আবার জামিনে বেরিয়ে পড়ে দাউদ।

পাঠানদের পাল্টা হামলা ও দাউদ ইব্রাহীমের দেশত্যাগ

আমিরজাদা হত্যার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে পাঠানরা। এ হামলার মাস্টারমাইন্ড দাউদের সহচর বড় রাজন তখনও জেলে। বড় রাজনকে ঠিক সেই কায়দায় কোর্ট প্রাঙ্গনে হত্যা করার পরিকল্পনা করে তারা। পাঠান গ্যাং আলমজেব এজন্য আবদুল কুনজুকে ভাড়া করে। নির্ধারিত দিনে বড় রাজনকে কোর্টে তোলা হয়। পুলিশ নিরাপত্তার চাদরে কোর্টপ্রাঙ্গন ঢেকে ফেলে। কিন্তু হায়! আবদুল কুনজুর ভাড়া করা কিলার নৌবাহিনীর ইউনিফর্ম পড়া সাফালিকা ভদ্র মানুষের মতো কোর্ট প্রাঙ্গনে ঘোরাফেরা করতে থাকে। পুলিশের এই ধারণা ছিলো না যে, নৌবাহিনীর সদস্য সেজে কোনো কিলার পুলিশকে বোকা বানাতে পারে। পুলিশের আশেপাশেই কিলার অবাধে ঘুরতে থাকে, যেহেতু তাকে আর কেউ আটকায়নি। একদম কাছে এসে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে কথিত নৌ-সেনা বড় রাজনকে হত্যা করে।

এবার দাউদের পালা। বড় রাজন হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দাউদ পাঠান গ্যাংদের বিরুদ্ধে দাবার গুটি সাজাতে থাকে। উত্থান ঘটে ছোটা রাজনের। ছোটা রাজনের সাথে বিরোধ ছিলো পাঠান গ্যাং আবদুল কুনজুর। আবদুল কুনজু তখন জেলখানায়। ছোটা রাজন আবদুল কুনজুকে আবার কোর্ট প্রাঙ্গনে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। বোম্বে পুলিশ অপরাধীদের এসব প্রতিহিংসাপরায়ণ কাণ্ডকারখানা শক্ত হাতে দমন করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই কুনজুকে কোর্ট প্রাঙ্গনে হত্যা চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ছোটা রাজন অন্য পথ বেছে নেয়। একদিন কুনজুকে চিকিৎসার জন্য জেল থেকে হাসপাতালে আনা হলো। ছোটা রাজন সেই সংবাদ পড়ে আহত হওয়ার ভান ধরে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে পড়ল। চোখের পলকে সবাই দেখলো, হাতে-পায়ে ব্যান্ডেজ করা এক লোক হঠাৎ সুস্থ মানুষের মতো পিস্তল নিয়ে দৌড় দিলো। কুনজুর কেবিনে গিয়ে বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়তে লাগলো সে। কুনজু খতম।

শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু- এই নীতি ধারণ করে মাফিয়া ডন দাউদ ছোটা রাজনকে তার দলে ভেড়ানোর জন্য উঠেপড়ে লাগলো। ছোটা রাজন দাউদের দলে যোগ দিয়ে দাউদের শক্তি বৃদ্ধি করলো। আরেক দুর্ধর্ষ পাঠান সামাদ খানকে দাউদ ছোটা রাজনের সহায়তায় হত্যা করলো। এভাবে একটার পর একটা খুনখারাবির ঘটনায় জড়িয়ে পড়ায় পুলিশের খাতায় তার নাম উঠে গেলো চিরতরে। বোম্বে নগরী আর নিরাপদ মনে হলো না তার কাছে। ১৯৮৬ সালে দাউদ তার জন্মভূমি বোম্বে নগরী ছেড়ে দুবাই পালিয়ে গেলো।

হোয়াইট হাউজ ইন দুবাই: মাফিয়া ডন দাউদের নতুন আস্তানা

দুবাই শহর তখন বিকশিত হচ্ছে। ভারতীয় মাফিয়া ডনদের নিরাপদ আস্তানা হয়ে উঠে দুবাই। বন্দী বিনিময় চুক্তি না থাকায় দুবাইয়ে কোনো ভারতীয় গ্রেফতার হলেও তাকে ভারতে ফেরত আনা যেতো না। স্বর্ণ চোরাচালান, জাল টাকার ব্যবসা, অস্ত্র সরবরাহ, চাঁদাবাজি, কন্ট্রাক্ট কিলিং- এসব কাজ দুবাইতে বসেই করতো দাউদের কুখ্যাত ‘ডি কোম্পানি’। দাউদের দলে যোগ দেয় আবু সালেম, ছোটা রাজন, ছোটা শাকিল, লম্বু শাকিল, টাইগার মেমন- এসব কুখ্যাত ডনরা। পুরো মধ্যপ্রাচ্য আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে ছিলো দাউদের নেটওয়ার্ক। দাউদ নিজেকে মহিমান্বিত করার জন্য দুবাইয়ের জুমেরাহ বিচ সংলগ্ন তার বাসভবনের নাম দিয়েছিল ‘হোয়াইট হাউজ’।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এই যে, বলিউডের সাথে দাউদের ছিলো চরম সুসম্পর্ক। বেনামে অনেক সিনেমার প্রযোজনা করতো দাউদ। শুধু তা-ই নয়, বলিউড নায়িকা মন্দাকিনীর সাথে দাউদের রোমাঞ্চের খবরও চাউর হয়েছিলো সিনে পত্রিকায়। হিন্দি সিনেমার পাইরেটেড সিডির ব্যবসাও ছিলো দাউদের নিয়ন্ত্রণে।

ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়, যখন বোম্বে নগরীতে ১৯৯৩ সালে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা হওয়ায় পাকিস্তানের আইএসআইয়ের ছত্রচ্ছায়ায় দাউদ বোম্বেতে বোমা হামলার পরিকল্পনা করে। এ কাজে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে টাইগার মেমন। এই বোমা হামলায় ২৫৭ জন লোক নিহত হয়। দাউদ হয়ে পড়েন ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী। আমিরাত সরকারের সাথে বন্দী বিনিময় চুক্তি করে দাউদকে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় ভারত। সেই মুহুর্তে দাউদ পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। আইএসআইয়ের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই দাউদ করাচীতে আছেন বলে ভারতের গোয়েন্দাদের মতামত। ক্রিকেটার জাভেদ মিঁয়াদাদের ছেলের সাথে নিজের মেয়ের বিয়ের সময় দাউদ অনুষ্ঠানস্থল দুবাইয়ে হাজির থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আইএসআই তাকে অনুষ্ঠানে থাকতে নিষেধ করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর ভয়ে।

হাজার হাজার কোটি রুপি অবৈধ পথে আয় করে দাউদ করাচির রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংককেও নাকি টাকা ধার দেন দাউদ! ওদিকে বোম্বে পুলিশ ক্রসফায়ারে প্রায় ১,৫০০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করে। ভেঙে যায় বোম্বের মাফিয়াদের নেটওয়ার্ক। দাউদের সাঙ্গপাঙ্গদের মধ্যে কেউ ক্রসফায়ারে নিহত হন আর কেউ বা জেলে বন্দী আছেন। দাউদেরও বয়স হয়েছে। অপরাধী নেটওয়ার্ক গুটিয়ে এনে চুপচাপ পাকিস্তানে বসবাস করছেন তিনি। পাকিস্তান যদিও কখনো তা স্বীকার করে না।

সর্বশেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮, ০৯:১৯
অনলাইন ডেস্ক

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন