একুশে বইমেলায় আগুন নিয়ে খেলা

সাইমুন মুবিন পল্লব: দ্বিতীয় শ্রেনির শিক্ষার্থী আসিফ । প্রতি বছরের মতো এবারো বাবা-মায়ের সাথে এসেছে বই মেলায়। ঘুরতে ঘুরতে হাজির হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের সামনে,তার বয়সী শিশুরা এখানে অগ্নি নির্বাপণী সরঞ্জাম ধরে ফায়ার স্যুট পরে ছবি তুলছে। আর বিশেষ গেমসের মাধ্যমে আগুন নেভানো শিখছে। এই গেম খেলায় অংশ নিয়েছে আসিফও। আসিফ বলেন, নিজে আগুন নিভাতে পেরে অনেক খুশি হয়েছি। আসিফের বাবা বলেন, আসিফের সাথে আমি নিজেও শিখেছি, এই শিক্ষা দ্বারা পরবর্তীতে পরিবারের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এবারের একুশে বইমেলায় ফায়ার স্টেশন থেকে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন করতে শিশু কিশোর সহ সকলের জন্য চালু করেছেন থ্রি-ডি ফায়ার সিমুলেশন গেমস। গেমস খেলতে প্রয়োজন শৃঙ্খলা মূল্য ১০টাকা এবং স্কুল ড্রেস পরিহিত শিশু কিশোরদের জন্য বিনামূল্যে খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিবারের মতো বইমেলাকে ঝুঁকি মুক্ত রাখতে এবারেও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। বইমেলার ৫ টি পয়েন্টে অবস্থান করে ফায়ার সার্ভিস এর কর্মিরা সার্বক্ষনিক দ্বায়িত্ব পালন করে চলেছে।

ফায়ার সিমুলেশন ও বুকস্টল সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের স্টাফ অফিসার মীর আনিরুল ইসলাম বলেন,ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল মুমিন স্যার এর ইচ্ছা ছিল অগ্নি নির্বাপণী সরঞ্জাম কিভাবে ব্যবহৃত হয় তার ধারণা সকলের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে। এরই ধারাবাহিকতায় অগ্নি নির্বাপণী সরঞ্জাম ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে গেমস তৈরি করা হয় ও এভাবের বইমেলায় প্রথমবারের মতো প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।তিনি আরো বলেন, যেহেতু বেশির ভাগ সময় নারী ও শিশুরা ঘরে অবস্থান করে প্রথম যদি তাদের কে সচেতনতা করা যায় তাহলে শুরুতেই আগুন নির্বাপণ করা যাবে। তাই নারী ও শিশুদের সচেতনতার দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

অস্থায়ী এই ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, বাঙালির প্রানের উৎসব বইমেলায় অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সার্বক্ষনিক দ্বায়িত্ব পালন করছি। দর্শনার্থীদের সচেতনতার পাশাপাশি দোকান মালিক ও কর্মচারীদেরকে মেলা শুরুর আগেই বিভিন্ন রকম সচেতনতা মুলক দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও বইমেলার ৫ টি পয়েন্টে আমাদের ৩০ জন কর্মি অগ্নি নির্বাপণী সরঞ্জাম সহ মোতায়েন আছে, মেলায় যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা সদাপ্রস্তুত। তিনি আরো বলেন, মেলা ২৪ ঘন্টা থাকার সুবাদে বিভিন্ন সময় আমরা বিড়ম্বনায় পড়ছি, বেশির ভাগ দিন রাতে বাথরুমে পানি থাকে নাহ যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয়৷ফায়ার সার্ভিস এর জন্য আলাদা বাফরুম এর ব্যবস্থা করলে আরো ভালো হতো।

সর্বশেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০০:০২
ডেস্ক রিপোর্ট

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন