মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি জাতিসংঘের

জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন’ মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ সামারিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর গণহত্যা ও যুদ্ধপরাধের অভিযোগে এনে একটি প্রদিবেদন প্রকাশ করেছেন। সেখানে দেশটির সামরিক কর্মকর্তাদের যথাযথ বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মিশনটি।

আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের ওই প্রকাশিত প্রতিবেদনে উত্তর রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার জন্য বিচার ও তদন্তের পাশাপাশি মানবতাবিরোধী অপরাধ ও অন্যান্য যুদ্ধপরাধে দেশটির সেনাপ্রধান মিন আং হ্লাংকে বিচারের মুখোমুখি করার কথা বলেছেন।
রোহিঙ্গাদের হত্যা, মিত্যা কারাদণ্ড, নির্যাতন, যৌন দাসী এবং ধর্ষণেরও অভিযোগ আনা হয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে। তবে সামরিক বাহিনী ছাড়াও মিয়ানমারের অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এই জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতানে জড়িত ছিলো। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা, মহিলাদের গণ-ধর্ষণ, শিশুদের প্রহার এবং পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া কতটুকু ন্যায়সঙ্গত, তা ভাববারও কখনও প্রয়োজন মনে করেননি বলেও জানানো হয় মিশনটির প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে।
২০১৭ সালের মার্চ মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই মিশনটি বেশকিছু প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন। যেখানে মিয়ানমারেরর সামরিক বাহিনী এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন, যারা দ্বারা তারা ‘নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে গুরুতর অপরাধের’ শামিল হয়েছেন।

মিশনটির চেয়্যারম্যান মার্জুকি ডারুসমান সোমবার জেনেভায় তার এক বক্তৃতায় বলেন, তারা প্রাথমিকভাবে প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভুক্তভোগী ৮৭৫ জনের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে অনেক তথ্য পেয়েছেন। এছাড়া তারা উপগ্রহের মাধ্যমে তোলা ছবি ও ভিডিও পর্যালোচনা করেন।

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের উপর ‘চরম মাত্রায় নিষ্ঠুরতা’ চালিয়েছেন। এমনকি রোহিঙ্গারা সেখানে ‘জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মারাত্মক পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নির্যাতন’ ভোগ করে আসছেন বলেও তিনি জানান।

মিশনের তদন্ত কমিটির একজন সদস্য স্ক্রিস্টোফার সিদোতি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের দমন-পীড়নকে প্রতিহত করবে। এমনকি তিনি প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের উপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল ও সাধারণ পরিষদকে গুরুত্বরোপ করারও আহ্বান জানিয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০১৮, ২১:৩৬
অনলাইন ডেস্ক

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন