নেপালে বাংলাদেশী বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ৫১ নিহত

রয়টার্স বলছে, উড়োজাহাজের যাত্রীদের মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালি ছিলেন। এ ছাড়া মালদ্বীপ ও চীনের একজন করে নাগরিক ছিলেন।

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৪৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এর আগে বার্তা সংস্থাটি নেপালের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫০ বলে উল্লেখ করেছিল। তবে বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪৯ জন নিহত হয়েছে।

নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র গোকুল ভান্ডারির বরাত দিয়ে রয়টার্স এর আগে জানিয়েছিল, উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ থেকে ৫০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নয়জনের খোঁজ মিলছে না। পরে নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সঞ্জীব গৌতমের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য ২২ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গোকুল ভান্ডারি এএফপিকে বলেন, কাউকে জীবিত উদ্ধার করার আশা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। কারণ উড়োজাহাজটি ভয়াবহভাবে পুড়ে গেছে।

কোনো বার্তা সংস্থাই তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি। এএফপি জানিয়েছে, উড়োজাহাজটিতে ৬৭ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু ছিলেন। এর মধ্যে ৩২ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

রয়টার্স বলছে, উড়োজাহাজের যাত্রীদের মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালি ছিলেন। এ ছাড়া মালদ্বীপ ও চীনের একজন করে নাগরিক ছিলেন।

আজ সোমবার ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার উড়োজাহাজটি। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কাঠমান্ডুর একজন সাংবাদিক বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৬৭ জন যাত্রী ছিলেন। নেপাল সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানসহ ৫১ জন নিহত হয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৮, ০০:০২
প্রথম আলো

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন