কলকাতায় বাংলাদেশী তরুণের শর্ট ফিল্ম

কলকাতার “রিল লাইফ ফিল্ম ফেস্টিভালে” প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশী তরুণের স্বল্প দৈর্ঘ চলচ্চিত্র “জীবন সায়াহ্ন” । আগামি ২৫ এ অক্টোবর ভারতের কলকাতা শহরে অনুষ্ঠিতব্য এই চলচ্চিত্র উৎসবে যোগদানের জন্য বাংলাদেশ আমন্ত্রণ পেয়েছেন তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ইমরান সরকার ।

এই চলচ্চিত্রটি আগামি ২৫ এ অক্টোবার কোলকাতাই সকাল ১০ টা থেকে ৬ টার মধ্যে “বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড টেকনলজিক্যাল মিঊজিয়াম ( BITM)” এ কলকাতাবাসি দেখতে পাবে । প্রতিযোগিতায় ভারত উপমহাদেশ সহ ও বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নির্বাচিত সেরা ১১ টি “স্টুডেন্ট ফিকশন ক্যাটাগরির” চলচিত্রর মধ্যে বাংলাদেশী চলচিত্র “”জীবন সায়াহ্ন” লড়বে । বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে যেন সুনাম বয়ে আনতে পারে, এমন স্বপ্নই এখন তরুণ নির্মাতা ইমরানের চোখে। ইমরান সরকার রাজধানীর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেট ইউনিভাসিতে ফামের্সী বিভাগের শিক্ষার্থী।

স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি নির্মানের শুরুর গল্প জানান ইমরান। তিনি বলেন, বাসায় বসে পত্রিকায় পড়ছিলাম এর মধ্যে হঠাত করে সরাসরি তরুন নির্মাতা শাকিব ভাইয়ের ফোন একটা স্ক্রিপ্ট নিয়ে জরুরী কথা আছে ছাউনিতে আসো। তাড়া করে বের হলাম গেঞ্জি, ওভারকোট পরেই বের হলাম। গেঞ্জি পার করে খোচা দিচ্ছে এপ্রিলের কনকনে বাতাস।মাথায় ঘুরছে শুধু স্ক্রিপ্ট। কফি খেতে খেতেই শাকিব ভাই হাতে স্ক্রিপ্ট ধরিয়ে দিয়ে বল্লো নেও পড়ো।কোথায় কিছু চেঞ্জ করা লাগবে কিনা দেখো, গল্প টা প্রথম দেখে শেষ পযন্ত দম বন্ধ করে পড়ে ফেললাম। কোন চিন্তা না করেই সাকিব ভাইকে বললাম আর অপেহ্মা সইছে না, চলেন ভাই কাজটা শুরু করি যা বাজেট লাগে ম্যানেজ হয়ে যাবে। অগত্যা কিছু লেন্স ও ক্যামেরা সেট আপ নিয়ে নড়াইল এ যাত্রা করলাম। নড়াইলে চলচ্চিত্র প্রেমি নড়াইল শিল্পকলার কিছু আটিস্ট নিয়ে নড়াইলের চিত্রা নদীঘেষে তুরালামপুর গ্রামে ফিল্ম টা শুরু করলাম প্রথম দিনে চিত্রা নদীতে খা খা রোদ্রে ও জোয়ারের কারনে অনেক কষ্টের মধ্যে শ্যুট শুরু করলাম। চিত্রা নদীর পারে নড়াইলে বিভিন্ন লোকেশনে এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে টানা শুটিং করে শেষ করলাম শুটিং অধ্যায়টা। চলচ্চিত্রটি চট্রগ্রামে “দখিনা চলচ্চিত্র উতসব” প্রিমিয়ারও হলো এবং পুরষ্কারও জিতে।

ভারতের অন্যতম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কলকাতায় রিল লাইফ চলচ্চিত্র উৎসবে স্বল্প দৈর্ঘ্য শর্ট ফিল্ম প্রতিযোগিতার খোঁজ পাই। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে ফিল্ম জমা দেয়ার পালা। জমা দিই। একদিন হঠাৎ কলকাতা থেকে Reellife film festival এর উৎসব প্রতিনিধি গোপি রায় এর ফোন - “hey imran sarker congratulations ” yours short film “Termination of life” has benn selected in students fiction film at reellife film festival. are u comming in screening day on 25 October? “।

“জীবন সায়াহ্ন” শর্টফিল্মটি বাউলদের জীবনের বিভিন্ন সুখ, দুঃখ, দারিদ্রতা, হাসি ,কান্না ভালবাসার দিক গুলো তুলে ধরা হয়েছে। শত অভাব, দারিদ্রতার মাঝেও তারা সঙ্গীতটা কে জীবন থেকে বাদ দিতে পারে না, সঙ্গীতটা কে আকড়ে ধরে, ভালোবেসে ত্যাগ করতে পারে জীবনের শেষ নিঃশ্বাসও।

সর্বশেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৭, ২৩:২৮
ছাইফুল ইসলাম মাছুম
ষ্টাফ করেসপন্ডেন্ট

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন