মিয়ানমারে সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শিশুরা সংকটাপন্ন: জাতিসংঘ

রাখাইন রাজ্যের একটি রোহিঙ্গা গ্রামে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক পুড়িয়ে দেয়া মার্কেটের ধ্বংসাবশেষ থেকে ভাঙ্গা জিনিষপত্র সংগ্রহ করছে শিশুরা।Reuters / Soe Zeya Tun
রাখাইন রাজ্যের একটি রোহিঙ্গা গ্রামে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক পুড়িয়ে দেয়া মার্কেটের ধ্বংসাবশেষ থেকে ভাঙ্গা জিনিষপত্র সংগ্রহ করছে শিশুরা।
ইউনিসেফের উপ নির্বাহী পরিচালক জাস্টিন ফোরসাইথ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘‘প্রত্যেকটি এলাকার শিশুদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে এখনো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে মিয়ানমারকে৷ বিশেষ করে সংঘাতপূর্ণ রাখাইন রাজ্যে দরিদ্র শিশুরা কোনো সুবিধাই পাচ্ছে না৷’’

মিয়ানমারের সংঘাতপূর্ণ প্রত্যন্ত এলাকায় অন্তত ২২ লাখ শিশুর বাস৷ রাখাইন রাজ্যসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গত কয়েক দশক ধরে শিশুরা সুবিধাবঞ্চিতই রয়ে গেছে৷ ইউনিসেফের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাদের দারিদ্র্য ও সংকটের কথা৷

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ মিয়ানমারের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সে দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷ ২০১১ সালে মিয়ানমার সেনা শাসনের পথ ছেড়ে গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে শুরু করে৷ ফলে সেই সময় থেকে সে দেশে প্রচুর বৈদেশিক বিনিয়োগকারী এগিয়ে এসেছে৷

সেসময় থেকে সরকার দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলে আসছে৷ কিন্তু ইউনিসেফ বলছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই শিশুরা কেবল নিরাপত্তা নয়, সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকেই বঞ্চিত৷

ইউনিসেফের উপ নির্বাহী পরিচালক জাস্টিন ফোরসাইথ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘‘প্রত্যেকটি এলাকার শিশুদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে এখনো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে মিয়ানমারকে৷ বিশেষ করে সংঘাতপূর্ণ রাখাইন রাজ্যে দরিদ্র শিশুরা কোনো সুবিধাই পাচ্ছে না৷’’

রাখাইন ছাড়া কচিন, শান এবং কাইন রাজ্যের শিশুরাও মানবিক বিপর্য়ের মুখে রয়েছে বলে জানিয়ে ইউনিসেফ৷ সংগঠনটির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর মিয়ানমারে পাঁচ বছরের কম বয়সি অন্তত ১৫০ শিশুর মৃত্যু হয়৷ বেশিরভাগ শিশু প্রাণ হারায় মায়ের প্রসবকালীন জটিলতা এবং সংক্রমণের কারণে৷ এছাড়া ঐসব রাজ্যের ৩০ ভাগ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে এবং তাদের অর্ধেকেরও বেশি দারিদ্র্যসীমার নীচে অবস্থান করছে৷ তাই অবিলম্বে এই শিশুদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ৷

এপিবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)

সর্বশেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৭, ০১:০০
ডয়চে ভেলে বাংলা

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন