শিশু সহ কয়েক শত রোহিঙ্গাকে আটক করেছে মিয়ানমার

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারকৃতরা।Picture-Alliance / DPA / N. Chan Naing
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারকৃতরা।
সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে আগুন দেয়া, নারীদের গণধর্ষণ ও বহু মানুষকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে৷ নির্যাতনের ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গত মাসে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘ৷

বিদ্রোহী দমনের অজুহাতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী গত কয়েক মাসে চারশ’র বেশি রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বলে জানা গেছে৷ এদের মধ্যে ১৩ জন শিশুও রয়েছে, যাদের একজনের বয়স ১০৷

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়৷ পুলিশের একটি নথির ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করে রয়টার্স৷ নথিতে তারিখ হিসেবে মার্চের ৭ তারিখ উল্লেখ আছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি৷

নথিতে আটক মোট ৪২৩ জন রোহিঙ্গার নাম আছে৷ নাম দেখে তাঁদের সবাই পুরুষ বলে মনে করছেন রয়টার্সের সাংবাদিক৷ ১৩ জন শিশুর মধ্যে একজনের বয়স ১০, আরেকজনের ১২-র নীচে৷ এছাড়া ১৩ বছর বয়সি শিশু আছে দু’জন৷

পুলিশ বলছে, শিশুরা অপরাধের সঙ্গে থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং তাদের কারাগারে না রেখে অন্য জায়গায় রাখা হয়েছে৷

সরকারি এক মুখপাত্রও শিশুদের আটক করার কথা নিশ্চিত করেছেন৷ আইন মেনে তাদের সঙ্গে যথাযথ আচরণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি৷

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের অক্টোবরের ৯ তারিখে মিয়ানমার সীমান্তের তিনটি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে নয়জনকে হত্যা করা হয়৷ মিয়ানমার সরকার এই হামলার জন্য রোহিঙ্গাদের দায়ী করে তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে৷ পাশাপাশি তাঁরা রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে৷

এছাড়া সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে আগুন দেয়া, নারীদের গণধর্ষণ ও বহু মানুষকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে৷ নির্যাতনের ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গত মাসে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘ৷ উল্লেখ্য, অভিযান শুরুর পর প্রায় ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে চলে যায়৷

তবে মিয়ানমার সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷

এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে সে দেশে জরুরি ভিত্তিতে একটি আন্তর্জাতিক ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং’ মিশন পাঠাতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷

জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স)

সর্বশেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারী ২০১৮, ০৫:০৭
ডয়চে ভেলে বাংলা

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন