মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছু মুসলিম-প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে নতুন একটি নির্দেশনা জারি করেছেন।
এ ব্যাপারে আগের জারি করা নিষেধাজ্ঞা আদালতে খারিজ হয়ে যাওয়ার পর নতুন আরেকটি নির্বাহী আদেশ দেয়া হলো।
নতুন নির্দেশনায় নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে ইরাকের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
তবে এবারও আগের তালিকার বাকি ছয়টি দেশকে রাখা হয়েছে — ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান, লিবিয়া এবং সোমলিয়া।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের যুক্তি হচ্ছে এই নিষেধাজ্ঞা আমেরিকাকে সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে নিরাপদ রাখার জন্য দরকার।
প্রথম আদেশে ইরাক, ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান লিবিয়া এবং সোমালিয়ার নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
মি. ট্রাম্পের একজন সহযোগী কেলিয়ান কনওয়ে বলেছেন, নতুন এই আদেশে ইরাককে বাদ দেয়া হলেও অন্য দেশগুলোর ওপর ৯০ দিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
অবশ্য এসোসিয়েটেড প্রেসের এক খবরে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের এমন একটি দলিল তারা দেখেছে যাতে বলা হয়েছে যে যাদের বৈধ ভিসা আছে তাদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া যারা গ্রীনকার্ড বা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের স্থায়ী অনুমোদনপ্রাপ্ত, তারাও ওই নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, নতুন আদেশে শরণার্থীদের ক্ষেত্রে ১২০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, “কট্টর ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা নির্মূল করার লক্ষ্যেই এই আদেশ জারি করা হয়েছে।”
আগামী ১৬ই মার্চ থেকে এই নতুন আদেশ কার্যকর হবে।
ফলে ১০ দিনের এই আগাম নোটিশের কারণে হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরগুলোতে এর আগেরবার যে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল তা এড়ানো সম্ভব হবে।
কারণ আগের আদেশটি দেয়া হয়েছিল কোন পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই।
এখন দেখার বিষয় আগের আদেশটির মতো নতুন আদেশটিও আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় কি না।
বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলছেন, সে সম্ভাবনা হয়তো এখনো আছে।
পাঠকের মন্তব্য