ধর্ষনকারীর ফাঁসির দাবিতে ধানমন্ডিতে সড়ক অবরোধ

মানববন্ধনে স্টামফোর্ড স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ারের উপদেষ্ঠা রেহানা আক্তার বলেন, ‘আজকে ধর্ষন আমাদের সমাজে ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। কেবল বগুড়ার একজন তুফান নয়, বরং টেকনাফ থেকে তেতুলিয় জুড়ে হাজারো তুফান আছে। ফলে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই আমরা ধর্ষনের খবর দেখি। তিনি বলেন, এভাবে অরাজগতা চলতে দেওয়া যায়না। ধর্ষকদের এ দেশ থেকে ঝাটিয়ে বিদায় করতে হবে।’

বাংলাদেশে বগুড়ায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং নির্যাতনের প্রতিবাদে রাজধানীর ধানমন্ডিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবোরধ করেছে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল ১১টায় সাধারন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ধর্ষকের শাস্তি আইন করে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানান। মানববন্ধনে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিভিন্ন বিভাগের সাধারন ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক নাহিদ নিয়াজি বলেন, ‘ধর্ষন সামাজিক ব্যাধি হিসেবে ছড়িয়ে পড়ছে। ধর্ষনের বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। জনমত তৈরি করতে হবে। আজকে আপনারা ধর্ষনের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু করেছেন, তা দিকে দিকে ছড়িয়ে দিন। ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন-সংগ্রাম ধর্ষন মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে।’

স্টামফোর্ড স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ারের উপদেষ্ঠা রেহানা আক্তার বলেন, ‘আজকে ধর্ষন আমাদের সমাজে ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। কেবল বগুড়ার একজন তুফান নয়, বরং টেকনাফ থেকে তেতুলিয় জুড়ে হাজারো তুফান আছে। ফলে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই আমরা ধর্ষনের খবর দেখি। তিনি বলেন, এভাবে অরাজগতা চলতে দেওয়া যায়না। ধর্ষকদের এ দেশ থেকে ঝাটিয়ে বিদায় করতে হবে।’ এ সময় ধর্ষনের বিরুদ্ধে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক নাঈম জালাল উদ্দিন, মহসিনুল করিম, লেকচারার ইমরান খান প্রমুখ।

কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষে মুখপাত্রের দ্বায়িত্ব পালন করেন রাখিল খন্দকার। তিনি বলেন, ‘আজকে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে ছাত্রছাত্রীদের সাথে নিয়ে আমরা ধর্ষনের বিরুদ্ধে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। ধর্ষনকারীর পরিচয় সে একজন অমানুষ, তার কোন সমাজ নেই, দল নেই, দেশ নেই। ‘ধর্ষনের সাজা হবে মৃত্যুদন্ড’ আমরা এমন আইনের বাস্তবায়ন চায়।’

মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিল সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ছাইফুল ইসলাম মাছুম। তিনি বলেন, ‘ধর্ষনের দায় এড়াতে অনেকে নারীর পোশাকের দোষ দিয়ে থাকেন। কিন্তু ধর্ষন থেকে আজ রেহাই পাচ্ছেনা তিন বছরের শিশুরাও। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঘটনাগুলো ধামাচাপা দেওয়ায়, ধর্ষনের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে। এমন বাস্তবতায় রাষ্ট্র দায় এড়াতে পারে না।’

উল্লেখ্য, বগুড়া শহরের একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রীটিকে ভালো কলেজে ভর্তির আশ্বাস দিয়ে গত ১৭ জুলাই ছাত্রীটিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার। এর ১০ দিন পর তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির নেতৃত্বে ‘একদল সন্ত্রাসী’ মেয়েটি ও তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে শহরের চকসূত্রাপুর এলাকায় কাউন্সিলর রুমকির বাড়িতে মা ও মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে বেধড়ক পেটানো হয়। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ও তার মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেট: ১ আগস্ট ২০১৭, ২১:১৪
মামুনুর রশিদ
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, ষ্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সিদ্ধেশ্বরী শাখা

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন