ব্যবসায়ে বোয়িংকে পেছনে ফেলল এয়ারবাস

উড়োজাহাজ ব্যবসায়ে ২০১৭ সালে মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের চেয়ে ইউরোপীয় কোম্পানি এয়ারবাস ভালো ব্যবসা করেছে। ২০১৭ সালে ১ হাজার ১০৯টি উড়োজাহাজ তৈরির ক্রয়াদেশ পেয়েছে এয়ারবাস। একই সময়ে বোয়িং ৯১২টি উড়োজাহাজ তৈরির ক্রয়াদেশ পেয়েছে।

বোয়িংকে পেছনে ফেলার বছরে এয়ারবাসের ব্যবসা আগের ২০১৬ সালের তুলনায় ৫২ শতাংশ বেড়েছে।

মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে। এয়ারবাস হলো ইউরোপের একাধিক দেশের মালিকানাধীন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭০ সালের ১৮ ডিসেম্বরে এটি কার্যক্রম শুরু করে। আর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং ১৯১৬ সালে উইলিয়াম বোয়িংয়ের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে। বিক্রি ও আয়ের হিসাবে এখনো বিশ্বের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হলো বোয়িং।

গত বছরে ক্রয়াদেশ পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলেও উড়োজাহাজ সরবরাহে অবশ্য এগিয়ে ছিল বোয়িং। সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী ২০১৭ সালে ৭৬৩টি উড়োজাহাজ বিশ্বের বিভিন্ন বিমান সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। একই সময়ে এয়ারবাস ক্রেতাদের সরবরাহ করেছে ৭১৮টি বিমান।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) অনুষ্ঠিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ প্রদর্শনী দুবাই এয়ার শোতে ৭৭৬টি বিমান তৈরি ও সরবরাহের ক্রয়াদেশ পায় এয়ারবাস। এয়ারবাসের এসব বিমান কিনবে ভারতের ইনডিগো, ইউরোপের উইজ এয়ার হোল্ডিংস ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইনস হোল্ডিংস।

২০১২ সাল থেকেই উড়োজাহাজ তৈরির ক্রয়াদেশপ্রাপ্তিতে বোয়িংকে পেছনে ফেলছে এয়ারবাস। বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা জন লিয়াইয়ের নেতৃত্বে এ সাফল্য অর্জন করছে এয়ারবাস।

২০১৭ সালে সাত শতাধিক উড়োজাহাজ সরবরাহে এয়ারবাসকে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে হয়েছে। বিশেষ করে এ৩২০ সিরিজের অপেক্ষাকৃত ছোট বিমানের ইঞ্জিন তৈরিতে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে। এরপরও গত বছর এ সিরিজের ৫৫৮টি বিমান ক্রেতাদের বুঝিয়ে দিয়েছে এয়ারবাস। একই সময়ে এ৩৫০ সিরিজের ৭৮টি বিমান সরবরাহ করেছে ইউরোপীয় কোম্পানিটি। আর এয়ারবাসের সবচেয়ে বড় ও বিলাসবহুল সিরিজ এ৩৮০ সিরিজের উড়োজাহাজ হস্তান্তর হয়েছে ১৫টি।

এয়ারবাসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ফ্যাব্রিস ব্রিগার বলেন, চলতি ২০১৮ সালে এয়ারবাসের উড়োজাহাজ সরবরাহের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে যাবে। এ বছর এ৩২০ নিও সিরিজের উৎপাদন বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হবে। এটা করতে পারলে এ বছরের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে। এই সিরিজের বিমানের ইঞ্জিন তৈরিতে মার্কিন প্রতিষ্ঠান প্র্যাট অ্যান্ড উইথনি গত বছর সমস্যায় পড়ায় সরবরাহ কমে গিয়েছিল বলে স্বীকার করেন ফ্যাব্রিস ব্রিগার।

সর্বশেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারী ২০১৮, ০৪:১৭
প্রথম আলো

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন