তৃতীয়বার উপকূল বন্ধু’র ‘ডিআরইউ’ অ্যাওয়ার্ড লাভ, খবরের নায়কদের প্রতিক্রিয়া কী?

তৃতীয়বার উপকূল বন্ধু ডিআরইউ' অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন.
তৃতীয়বার উপকূল বন্ধু ডিআরইউ' অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন.

খবরের পেছনে এপার থেকে ওপার। গড়ে ওঠেছে বিশাল নেটওয়ার্ক। আর এই খবরের নায়করা হলেন জেলে, মজুর, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, শিশু শ্রমিক, নারী শ্রমিক। যারা বহু সংগ্রামে টিকে আছেন উপকূলের মাটিতে। উপকূলের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের এসব বিপন্ন মানুষ খবর যখন খবরের উৎস বাংলাদেশের উপকূল সাংবাদিকতার পথিকৃত, উপকূল বন্ধু রফিকুল ইসলাম মন্টু’র! আমজাদ মোল্লা। বয়স ৬৫ছুঁয়েছে। ব্যবসায় জড়িত লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মতিরহাটের মেঘনা বীচ সংলগ্ন। মি. রফিকুল যখন সেখানে আসেন। পরিচয় তার সাথে। জেলে সংকট দূর করতে অনবরত মি. রফিকুলের একের পর এক প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। তার দেওয়া তথ্য আর তার নাম দিয়েই হয়তো
গণমাধ্যমে জেলেদের নিয়ে গল্প লিখেছেন মি. রফিকুল। এভাবেই অসংখ্য মানুষ, বহু কণ্ঠনিসৃত ভাষা খবরের শিরোনাম হয়ে আসে মি. রফিকুলের।

ধারাবাহিকভাবে ‘জেলে জীবনের দুঃখগাথা’ শীর্ষক সাত পর্বের সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনগুলিতে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অর্জন করেছেন ‘ডিআরইউ’ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০১৪। মেহেদী হাসান লিটন। বয়স ৪০ পেরিয়েছে। একজন উদ্যমী ইউপি সদস্য তিনি। পাশাপাশি মতিরহাট ইলিশ ঘাটের সভাপতি। মি. রফিকুলের সাথে খবর খোঁজের একপর্যায়ে পরিচয়। উপকূল এগিয়ে নিতে বহু মুখী তথ্য উঠে আসে তার কাছ থেকে। তার বক্তব্য থেকে উঠে এসেছে বেড়িবাঁধ সংকট, দুর্যোগ মোকাবেলার অবকাঠামোগত সমস্যা কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনে বিপন্ন মানুষের কথা। এভাবেই তার মতো বহু তথ্যের সমন্বয়ে “অরক্ষিত উপকূল” বিষয়ে ৮ম পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন লিখে অর্জন করেছেন ‘ডিআরইউ’- বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০১৫। যেখানে উপকূলের মানুষের অস্বাভাবিক জীবন চিত্র উঠে এসেছে। খবরের খোঁজে গিয়েছেন বহু দ্বীপে। সর্বশেষ গন্তব্য চাঁদপুরের দ্বীপ হাইমচরে। সেখানে গিয়ে পেয়েছেন ৭০বছর বয়সি আবু সরদার ও ৫০বছর বয়সি সামাদ আলী হাওলাদারকে। সে দ্বীপসহ সকল দ্বীপ বা চরের সম্ভাবনার তথ্য স্থান পেয়েছে তার নখদর্পনে।

এমনি সম্ভাবনাগুলো নিয় “অফুরন্ত সম্ভাবনার দুয়ারে উপকূল” শিরোনামে ধারাবাহিকভাবে দশ পর্বের সিরিজ প্রতিবেদন লিখে জিতেছেন ‘ডিআরইউ’-বেস্ট রিপোটিং অ্যাওয়ার্ড-২০১৭। এবার মিলে রফিকুল ইসলাম মন্টু তিনবার বেস্ট রির্পোটিং অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন সাংবাদিকদের এই প্রাণের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি থেকে। যে মানুষগুলোর এই অর্জনের পেছনের নায়ক তাদের প্রতিক্রিয়া কী? ওই মাছঘাট সভাপতি ও ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান লিটন বলছিলেন, “মন্টু ভাইকে মতিরহাটের পক্ষ থেকে অভিনন্দন। আসলে আমরা সর্বপ্রথম তার মতো একজন ব্যতিক্রমী সাংবাদিক খুঁজে পাই। তিনি আমাদের সাক্ষাতকার নিয়েছেন এবং তা পত্রিকায় প্রকাশ করেছেন। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে উপকূল।” ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে মেঘনাতীরের লক্ষ্মীপুরের মতিরহাটের ওই আমজাদ মোল্লা(৬৫) ও জামাল উদ্দিন(২৫) একই সূরে সূর মিলিয়ে বলেন, ” সাধারণ মানুষের খবর লিখেই তিনি অনেক বড় অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। বলতে গেলে তিনি তো একজন বিখ্যাত সাংবাদিক। তার সাথে গল্প করতে পেরেও আমরা বেশ আনন্দিত। তার মতো এমন কোন সাংবাদিক আমরা পাইনা।”

সর্বশেষ আপডেট: ৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ২১:০২
জুনাইদ আল হাবিব
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন