কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা বাস্তবায়নের দাবি

গণশুনানিতে দূষণমুক্ত ঢাকা সিটি বিনির্মাণে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা বাস্তবায়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার প্রতিনিধিরা। তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ প্রদান ও জনসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন। আজ সোমবার আয়োজক সংস্থা গুলোর পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দূষণমুক্ত ঢাকা সিটি বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে), কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওর (কাপ), বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এবং ইনসাইটস্ নামক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওই গণশুনানির আয়োজন করা হয়। রাজধানীর হাজারীবাগ কমিউনিটি সেন্টারে গণশুনানিতে স্থানীয় অংশীজন, কমিউনিটি প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।

কাপের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুল হকের সঞ্চালনায় পরিচালিত সভায় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১ বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা কলিং প্রকল্পের মনিটরিং ও ডকুমেন্টশন অফিসার ফারহা হাদিয়া। আলোচনায় অংশ নেন ডিএসসিসি’র ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান বাবুল ও ৫৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর আলম, ডিএসসিসি’র আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, কাপের নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত প্রমুখ।

বিধিমালা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে শুনানিতে বক্তারা বলেন, সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, সীমাবদ্ধতা এবং সমস্যার ওপর অধিক আলোকপাত করতে হবে। কমিউনিটি থেকে ময়লা নিতে কোন সমস্যা হলে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। এ বিষয়ে কাউন্সিলরদের সহায়তা করতে হবে। রাজধানীর পরিবেশ উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং কমিউনিটি প্রতিনিধিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।

শুনানিতে রাজধানীর বর্জ্য বিশেষ করে কঠিন বর্জ্য অপসারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সুপারিশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে, স্থানীয় এনজিও ও সিবিওদের সমন্বয়ে বস্তিভিত্তিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন এবং বস্তি এলাকার ও দরিদ্র জনগোষ্ঠিসহ সবার সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নির্ধারিত সময় ও নির্ধারিত স্থানে ময়লা ফেলা নিশ্চিত করা, বস্তি এলাকা ও নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে প্রতিদিন ময়লা সংগ্রহ করা এবং ফি কম নেওয়া, অধিক বর্জ্য উৎপাদিত কেন্দ্র যেমন হাঁট-বাজার, কলকারখানা, খাবার হোটেল, নির্মাণ ও মেরামত প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির কঠিন বর্জ্য সরাসরি নিজ ব্যবস্থাপনায় অপসারণ এবং এ কাজে জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

সর্বশেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২২, ১৪:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন