মানিকগঞ্জে লিটন’কে সেচ্ছাসেবায় সম্মাননা স্মারক প্রদান

তরুণ সংগঠক ও সংস্কৃতিকর্মী এম.আর.লিটন’কে সেচ্ছাসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য “বিচ্ছুরণ পাঠক সমাবেশ-২০১৯” সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। ১ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৫টায়, লিটন এর ২৭তম জন্মদিন উপলক্ষে এক সাহিত্য আড্ডার মধ্যেদিয়ে “এগারজন” মানিকগঞ্জ জেলা কমিটি এই সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি এ্যাড. দীপক কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি অধ্যাপক শ্যামল কুমার সরকার, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী মানিকগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ রহমান মামুন।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি এ্যাড. দীপক কুমার ঘোষ ।অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি এ্যাড. দীপক কুমার ঘোষ ।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এগারজন এর জেলা সহভাপতি রিক্তা ঋতু, জেলা এগারজন এর সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক রুমা আক্তার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহবুব আলম, সদস্য বশির আহমেদ ও হাফসা আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অন্তরঙ্গ সাহিত্য পরিষদের সদস্য সচিব কবি পংকজ পাল প্রমুখ।

বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি অধ্যাপক শ্যামল কুমার সরকার । এরপর এম.আর.লিটন সবাইকে সাথে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাঁটেন । এছাড়াও আলোচনা ও কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ, এম আর লিটন ১অগস্ট ১৯৯৫ সালে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওরের পয়লা পূর্বপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন, পিতা মো. নতুবালী ও মাতা সুফিয়া বেগম এর দুই সন্তানের এর মধ্যে কণিষ্ঠ এম আর লিটনের পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয় পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে, নিম্ন মাধ্যমিকে তেরশ্রী কে.এন. ইনস্টিটিউশন, এবং উচ্চ মাধ্যমিক পড়েন ঘিওর সরকারি কলেজে। বর্তমানে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত “ভূগোল ও পরিবেশ” বি.এস.সি (অনার্স) শেষ করেছেন।

ছোট থেকেই সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত লিটনের লেখালেখির হাতেখড়ি ৭ম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে কবিতা, ছড়া, ফিচার, আবৃত্তি ও সাহিত্য চর্চা করতেন । মাধ্যমিক পড়ার সময় থেকে তিনি যুক্ত হন, ছাত্র আন্দোলন সহ নানা সংগঠনে। ৮ম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি ছোটদের নিয়ে গড়ে তুলেন অন্তরঙ্গ সাহিত্য পরিষদ সংগঠন, সংগঠনটি এখন মানিকগঞ্জ জেলার একমাত্র বড় সাহিত্য সংগঠন । ৯ম শ্রেণিতে ওঠার পর যুক্ত হন প্রগতিশীল সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাথে ।

১০ম শ্রেণিতে পড়ার সময় ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ কাব্যগ্রন্থ “রক্তের ফুল” কাব্যগ্রন্থর প্রকাশিত হয় তাঁর কবিতা। মাধ্যমিকে পড়ার সময় থেকেই তিনি কবিতা, এলাকার সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন লেখা শুরু করেন, যা নানা সময়ে বিভিন্ন প্রত্র-পত্রিকায় ছাপা হতে থাকে, রেডিওতে প্রকাশ হয় তাঁর চিঠি।

গ্রামের দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা লিটনের জীবনযুদ্ধের শুরু ছেলেবেলা থেকেই, কিন্ত দরিদ্রতা থামাতে পারেনি তার এগিয়ে যাবার পথ, তার লেখালেখি এবং সাংগঠনিক মেধা তাকে সামনের দিকে অগ্রসর এগিয়ে যাবার পাথেয় হয়, কলেজে উঠে পুরোদমে যুক্ত হন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন, গণজাগরণ মঞ্চ, মাদক বিরোধী ও সাহিত্য সংগঠনের সাথে।গড়ে তোলেন নানা সংগঠন।

স্নাতকে ভর্তি হবার পর থেকে মানিকগঞ্জ শহরে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি যুক্ত হন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পরিবেশবাদী, মাদক বিরোধী ও নানা প্রগতিশীল সংগঠনের সাথে।

২০১৫ সালে এম.আর.লিটনকে তরুণ হিসেবে সেচ্ছাসেবায় স্বীকৃতি স্মারক প্রদান করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন মানিকগঞ্জ জেলা সংসদের সাবেক সভাপতি এবং খেলাঘর, ইয়ুথ হাংঙ্গার, সামাজিক সংগঠন তরুণ্যের আলো, বিশ্ব বাংলা সাহিত্য পরিষদ, প্রগতি লেখক সংঘ বিভিন্ন যুক্ত ছিলেন, বর্তমানে উদীচী মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, দৈনিক খোলা কাগজ পাঠক ফোরামের জেলা সভাপতি ও অন্তরঙ্গ সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্য হিসেবে যুক্ত আছেন ।

এছড়াও তিনি একজন প্রচ্ছদ শিল্পী ও গ্রাফিক্স ডিজাইনার, তিনি বিভিন্ন স্কুল- কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘ হাতের সুন্দর লেখা’ লেখা শিখান । বর্তমানে তিনি অনলাইন শিল্প ও সাহিত্য পত্রিকা ‘বিচ্ছুরণ’ এর প্রকাশক ও সম্পাদক । বিচ্ছুরণ পাঠক সমাবেশ নামে তরুণদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন সামাজিক সংগঠন । তিনি তরুণ সংগঠক, কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত ।

সর্বশেষ আপডেট: ২ আগস্ট ২০১৯, ০০:৩৪
অনলাইন ডেস্ক

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন