ডিজিটাইজেশনে সাদিকের লিডসাস

“বাংলাদেশে বহুসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো আধুনিকায়নের ছোঁয়া লাগেনি। এতে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে, ঠিক তেমনি সেকেলে ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বহাল থাকায় মূল্যবান সময়ের অপচয় হচ্ছে। তাই উন্নত বিশ্বের মতো এদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার জন্য প্রয়োজন কার্যকরী পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী উদ্যোগ।”

সমসাময়িক বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিক্ষা প্রতিষ্টানে নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। এ সময়টিতেই বাংলাদেশী তরুণ উদ্দ্যোক্তা সাদিক আল সরকার ২০১৫ তে যেটি এনেছিলেন, সেই লিডসাস প্রকল্পের ব্যাবহার বেড়েই চলেছে। নাম শুনে যারা ভেবে বসলেন ছোট কোনো প্রকল্প তাদের জন্য থাকছে চমক! লিডসাস টিম দেশের বিভিন্ন নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্টানে দিচ্ছে তাদের সেবা, লিডসাসের প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ থাকছে শিক্ষার্থীরা।

লিডসাসের প্রতিষ্টাতা তরুস সাদিক আল সরকার আমাদের সাথে সাক্ষাতকারে জানালেন তার স্বপ্নের কথা, “বাংলাদেশে বহুসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো আধুনিকায়নের ছোঁয়া লাগেনি। এতে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে, ঠিক তেমনি সেকেলে ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বহাল থাকায় মূল্যবান সময়ের অপচয় হচ্ছে। তাই উন্নত বিশ্বের মতো এদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার জন্য প্রয়োজন কার্যকরী পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী উদ্যোগ।”

লিডসাসের প্রকল্পটি সম্পর্কে জানতে কথা হলো পুরো টিমের সাথে। ২০১৫-এর প্রথম দিকের কথা, সাদিক লক্ষ করলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বা স্কুল ডিজিটালাইজেশন নিয়ে বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ কাজ করছে না। এরপর তিনি দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন যে, তিনি যে সার্ভিসগুলো চাচ্ছেন, তা কেউই একসঙ্গে দিচ্ছে না। পরবর্তীতে সাদিক নিজেই একটি পরিকল্পনা সাজান। কী কী সার্ভিস থাকলে কমপ্লিট ডিজিটাল স্কুল, তথা আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা একটি স্কুল গড়া সম্ভব হয়, তা তিনি তালিকাভুক্ত করতে থাকেন।

লিডসাস এর চীফ অপারেটিং অফিসার সাঈদ সারোয়ার সাদী বলেন, ‘‘বাংলাদেশে শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তার পাশাপাশি আধুনিকায়নের ধারণাটি নতুন না হলেও সঠিক পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণে সচেষ্ট না হওয়ায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ। টিম লিডসাস ডিজিটালাইজেশনের সার্বিক সুবিধাগুলো প্রোগ্রাম কাউন্সেলিং ক্যাম্পেইন - এর মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কমিটির ভেতর সচেতনতা তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছে।’’ যেহেতু, শিক্ষার্থীগণ দেশের ভবিষ্যতের কর্ণধার, সেহেতু তাদের নিরাপত্তাকে সর্বাধিক প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ বলেও মনে করেন টিম লিডসাস এর এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

সাদিক বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করলেও কিছু প্রতিবন্ধকতা আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর পথে অন্তরায় হয়ে ওঠে। বিভিন্ন অপরাধ চক্রের সক্রিয়তা, ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনিয়মিত থাকাসহ আরও নানা সমস্যা আমাদের সমাজে এখনো বিষফোঁড়ার মতোই অবস্থান করছে। একা কখনোই কারো পক্ষে এ সমস্যাগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব না। তিনি জানান, তাই টিম লিডসাস একটি কমপ্লিট কনসেপ্ট নিয়ে এগিয়ে যেতে সম্মত হলো, যেখানে আধুনিক নিরাপত্তাব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পূর্ণ আধুনিকায়ন সম্ভব হবে। এভাবেই মূলত লিডসাস লিমিটেডের যাত্রা শুরু।’

ভিন্নধর্মী চিন্তা থেকে সফল হবার এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সাদিক আল সরকার, তরুনের ভাগ্যে মিলেছেও স্বীকৃতি। ব্যাতিক্রমী চিন্তাভাবনাটির জন্য দেশের মূলধারার বেশকয়েকটি দৈনিক তার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছিলো লিডসাসের জন্মলগ্নে, সাদিক বিশ্বাস করেন তার কাজের স্বীকৃতি আরো বাড়বে যখন প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্টানে ছড়িয়ে যাবে আমার “লিডসাস”

ডিজিটাইজেশন ধারণাটা খুব বেশি পুরোনো না হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আধুনিক নিরাপত্তা পদ্ধতি ও সফটওয়্যারকেন্দ্রিক ব্যবস্থাপনা আমাদের দেশের জন্য অনেকটাই নতুন। অল্প কিছু সংখ্যক প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসব পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত উদ্যোগে আধুনিকায়নে বছরজুড়ে রক্ষণাবেক্ষণ সেবা পাওয়াটা দুষ্কর। তাছাড়া ইলেকট্রনিক প্রোডাক্টগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে নিম্নমানের প্রোডাক্ট কিনে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে টিম লিডসাসের লিডসাস ডিজিটাল প্রোগ্রামের কমপ্লিট প্যাকেজগুলো নিঃসন্দেহে যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য স্বস্তির কারণ হতে পারে। কেননা এখানে গ্রাহকগণ পাচ্ছেন সর্বাধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মিলিত সকল পরিসেবা।

লিডসাসের গবেষনা টিমের জরিপে দেখা গেছে, অনেকেই স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়নে আগ্রহী। আরও উঠে এসেছে যে, সঠিক পরিকল্পনা ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় যৌথ মালিকানাধীন কিংবা বড় পরিসরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আধুনিকায়ন দুরূহ হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে সেসব প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছে করলেই টিম লিডসাসের বিশ্বমানের আইসিটি পরিসেবা গ্রহণ করতে পারে। গ্রাহকদের মতামতকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে লিডসাসের বিশ্বমানের আইসিটি টিম ইন্টারনেট প্রটোকল সমর্থিত আধুনিক সিসি ক্যামেরা থেকে শুরু করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, ওয়েব বেইজড মার্কেটিং, বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স সিস্টেমসহ সব ধরনের আধুনিক আইসিটি পরিসেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর।লিডসাস এর বিশ্বমানের আইসিটি সাপোট প্রসঙ্গে রাজধানী ঢাকাস্থ প্রসিদ্ধ বিদ্যাপীঠ ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ জনাব নাজির আহমদ বলেন- ”যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা সুনিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পূণরূপে আধুনিকীকরণে টিম লিডসাসের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। একইসাথে একাধিক আইটি পরিসেবা গ্রহণ ও রক্ষণাবেক্ষণের ঝক্কিঝামেলা এখন আর নেই বললেই চলে।’ আর নারায়নগন্জের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আধুনিক নিরাপত্তা পদ্ধতি ও সফটওয়্যারকেন্দ্রিক ব্যবস্থাপনা আমাদের দেশের জন্য অনেকটাই নতুন। অল্প কিছু সংখ্যক প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসব পদ্ধতি ব্যবহার করছেন আর আমাদের প্রতিষ্ঠানটিও লিডসাসের মাধ্যমেই নিরাপত্তায় ঢাকা বলে জানালেন নারায়ণগঞ্জের অন্যতম স্কুল চেরিশ বিদ্যানিকেতনের অধ্যক্ষ মোরশেদা হাসিনা।

সর্বশেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারী ২০১৮, ০০:৪৫
ডেস্ক রিপোর্ট

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন